আমরা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস মেনে চলি। সাধারণত আমরা প্রতিনিয়ত এই নিয়ে চিন্তা করি যে কিভাবে ওজন কমবে, কিভাবে রাতে ঘুম ভাল হবে, কিভাবে বেশি শক্তি পাওয়া যাবে, কি পরিমান পানি পান করা দরকার এইসব অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা রোজ নতুন করে জেনে নিতে পছন্দ করি । তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের অবশ্যই এই ২০০টি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস জানা অত্যান্ত জরুরী।
স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়

সব মানুষের কাম্য কি ভাবে সুস্থ, সুন্দর ও ফিট শরীর রাখা যায়। তবে প্রায় সময়ে দেখা যায় প্রতিদিন যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস গুলো মেনে চলা দরকার তা নিজেদের অলসতা বা ইচ্ছার অভাবে করা হয় না। স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস গুলো মেনে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান

আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে।
তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু। ওজন বাড়াতে চাইলে বসা ভাত খেলেই উপকার পাবেন। কেননা এটা থাকে প্রচুর ক্যালোরি। মিষ্টি খান রোজ।
তরল জাতীয় খাবার খান

একটু পর পর তরল জাতীয় খাবারে ক্ষুধা দ্রুত তৈরি করে। এজন্য আপনি ক্ষুধা তৈরি করার জন্য একটু পর পর তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খেতে পারেন।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না।
ঘন ঘন খান

আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দিনে ৫ থেকে ৭ বার পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। অামরা সচরাচর ৩ বার খেয়ে থাকি। আপনি দিনে ৬ বার খান কিন্তু পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে। এতে করে আপনার খেতে কোনো সমস্যা হবে না। কলা, আম ইত্যাদি ফল বেশি পরিমাণে খাবেন।
পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারও গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবেন আপনার দেহ থেকে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যাবে। তাই ভাজা বাদ দিয়ে বাদাম, পরিমিত মিষ্টি, ঘরে তৈরি নানান খাবার খান।
সঠিক নিয়মে খান

আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কোনো নিয়ম মেনে খাচ্ছেন না এতে করে আপনার কোনো কাজই হবে না। আপনার ওজন কোনোভাবেই বাড়বে না।
আপনি যদি নিয়ম করে খাবার তালিকা তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দিনের একটি বড় তালিকা তৈরি করুন ও সেটি পালন করুন ঘড়ি ধরে। মোটামুটিভাবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাবেন। ওজন বাড়ে সহায়ক খাবার গুলো রোজ খাবেন ও পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
শারীরিক ব্যায়াম

অবাক হচ্ছেন? ভাবছনে আপনি রোগা মানুষ আপনার আবার ব্যায়াম কি? তাহলে জেনে রাখুন, কিছু বিশেষ ব্যায়াম শরীরের পেশী তৈরি করে ও ওজন বাড়ায়। তাছাড়া ক্ষুধার উদ্রেকও করে। জিমে যাওয়া শুরু করুন নিয়মিত, ট্রেইনারের কথা মেনে চলুন। চমৎকার শরীর তৈরি হবে।
আবার আপনি যদি শুধু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েই যান আর কোনো ধরনের ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত মেদ দেখা দেবে যেমন তলপেটসহ অন্যান্য অংশে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। এজন্য যতটা সম্ভব শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করে একটা ভালো ওজন পেতে পারেন।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন

ধূমপান একজন মানুষকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এজন্য দেখা গেল যে স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য আপনি যতটা প্রয়োজন নিয়ম করে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু পাশাপাশি ধূমপান চালিয়ে গেলেন।
এতে করে আপনার কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। এর জন্য আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন আর ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন।
চিকন স্বাস্থ্য থেকে মুক্তির উপায়

চিকন শরীর নিয়ে অনেকেই সমস্যাতে আছেন। লিকলিকে চিকন ও পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। সবাই চায় তার শারীরিক গঠন আকর্ষণীয় হোক।
ওজন বাড়িয়ে সুগঠিত শরীর পাবার আশায় যদি সত্যিই যদি নিজেকে নিয়জিত করে থাকেন, তাহলে আপনার উপকারে আসবে এই টিপস গুলো। যারা খুব শুকনা তারা চিকন থেকে মোটা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন আশা করি অনেক উপকারে আসবে।
- নিয়মিত বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে, রুটিন করে খাবেন। যখন মন চাইলো আর খেলেন সেই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন।
- বেশি বেশি ভাত অথবা রুটি খাবেন। প্রতিবেলা ভাতের সাথে প্রচুর পরিমানে আলু তরকারি হিসেবে খেলে ভাল ফলাফল পাবেন। সাথে ডালও রাখবেন।
- সকালের বেলায় ২টি সিদ্ধ ডিম খাবেন। ডিমে প্রচুর আমিষ থাকে যা আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
- দুপুর এবং রাতের খাবারে ভাতের সাথে বেশি করে মাছ অথবা মাংস, খাবেন। খাওয়া শেষে ২টা কলা খেয়ে নিতে পারেন। কলা মোটা হতে ভাল সাহায্য করে।
- বিকালের নাস্তাতে বাদাম, ছোলা বা কলাই জাতীয় খাবার খাবেন। যদি প্রতিদিন একই খাবার খেতে মন না চায়, তাহলে একেক দিন একেক খাবার খাবেন।
- রাতে ঠিক মত ঘুমাতে হবে, তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
- প্রচুর মিষ্টি জাতীয় ফল খান। মিষ্টি জাতীয় ফলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, জ্যাম, জ্যালি খান এতে প্রচুর চিনি আছে যা আপনার স্বাস্থ্য মোটা করবে।
- টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূর করে। ফলে বেশি বেশি খাবার খাওয়ার আগ্রহ জাগবে।
- সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়। কারণ এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন, তখন পানি পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়।
- নিজের মনোবল বৃদ্ধি করুন এবং রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১টি কৃমির ট্যাবলেট চুষে খাবেন। আপনি ঠিক ৭ দিন পরে আবার ১টি কৃমির ট্যাবলেট খাবেন (ভুল করবেন না)।
- প্রথমে উঁচু কদমে দৌঁড়ে ব্যায়াম করুন এবং এমন ভাবে দৌঁড়াবেন যাহাতে আপনার শরীরের মাংস নড়তে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যায়াম করুন যাহাতে আপনার সম্পূর্ণ শরীরের জয়েন্ট গুলো ব্যায়ামের আওতায় আসে (প্রথম প্রথম ব্যায়াম করার সময় আপনার শরীর ব্যাথা হবে)। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- সূর্য উদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে উঠুন।
- সন্ধ্যার পরে ১টি ডিম ও এর সাথে ময়দার রুটি খাবেন। এছাড়াও ১টি অথবা ২টি মিষ্টি খাবেন।
- ব্যায়াম করার পোশাক পরিধান করে ব্যায়ামের জন্য গমন করুন।
- আপনি সকাল-বেলা ব্যায়াম করার ৭-৮ মিনিট পরে প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহন করুন। আপনার খাদ্য তালিকায় যা যা থাকবে- ডিম-১টি, কলা-১টি, কাঁচা পেঁপে এক টুকরা, আপেল-১টির অর্ধেক, কমলা-৩-৪ কোয়া, আঙ্গুর-৫-৭ টি, ছানা-মাখন-২০ থেকে ৩০ টাকার মত এবং পানি (বৃষ্টির পানি হলে ভালো হয়। বিদেশী ফল খাবার পূর্বে লবনযুক্ত পানিতে ১ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন এতে ৯০% ফরমানি মুক্ত হওয়া সম্ভব এবং এছাড়াও সবচেয়ে দেশী ফল উত্তম)। আপনি এখন খাবার পরে ৩০ মিনিট বিশ্রাম করুন। দুপুর ১১:৩০ মিনিটে সময় আপনি একটি ডাব এবং সাথে আপনার পছন্দের খাবার খাবেন।
- আপনি প্রতিদিন দুপুর ২ টার মধ্যে খাবার খাবেন এবং খাওয়ার পর স্বয়ার কম্পানির মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট প্রতিদিন ১টি করে খাবেন ও খাবার পরে ১-২ ঘন্টা ঘুমাবেন।
- বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ ধৌঁত করে ১ গ্লাস দুধ পান করবেন। যদি পারেন বেদানা খাবেন (১টি বেদান ৪-৫ দিন করে)।
- রাতে ১০টার মধ্যে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে খাবার ৩০ মিনিট পূর্বে ১টি ট্যাবলেট খাবেন তারপরে রাতে খাবার খেতে ব্রাশ ঘুমাতে যাবেন।
- আপনি এভাবে অভ্যাস চালিয়ে যান। যেহেতু স্বাস্থ্য সৃষ্টিকর্তার দান। তাই সৃষ্টিকর্তার কৃপা ব্যাতীত চিকন স্বাস্থ্য মোটা হওয়া সম্ভব নয়। আসা করি আপনি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।
উপরের টিপস গুলি মানলে আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কিভাবে এত দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব।
সতর্কতাঃ মোটা হওয়ার জন্য অনেকে অনেক ঔষধের কথা বলেন। ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়ার চেষ্টা কখনও ভুলেও করবেননা। এতে আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন

বাইরে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বাসায় ফিরে আবার ব্যায়াম করুন? আপনি কি এই ভাবছেন, যে আপনি আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন! কিন্তু তা না। বরং উল্টো ফলাফল পাবেন। ব্যায়াম বরং আপনাকে আরো বেশি তরতাজা করে তুলবে, মনকে প্রফুল্ল রাখাবে, এতে আপনি সারাদিনের হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরে আনবে।
এমনকি দূর করে দেয় খারাপ ভাবনা! বিশ্বাস যদি না হলে আজ থেকে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এর বিশেষ সুফল।
হাতে লিখুন

আমরা এখন সাধারণত লেখালেখির সব ধরণের কাজ কম্পিউটার দ্বারা করে অভ্যস্ত হয়ে থাকি। কিন্তু এক বিশেষ গবেষণায় দেখা যায় যে,সবচেয়ে কার্যকরী হয়, কোন কিছু মনে রাখতে চাইলে তা হাতে লিখে মনে রাখার চেষ্টা করা।
এর মাধমে আপনার মস্তিষ্ক আরো বেশি সজাগ থাকে বলে জানা যায়। মনে করে দেখুনতো ছোটবেলায় আমরা কিন্তু এভাবেই পড়াগুলো মুখস্থ করতাম! এখন থেকেই যখন যা কিছু শিখবেন,সবসময় কম্পিউটারে টাইপ না করে মনে রাখতে চাইলে তা কাগজে কলমে লিখে দেখুন, বেশি মনে থাকবে।
এটি এক দিকে যেমন আপনার হাতের লেখা ভালো হবে অন্য দিকে আপনাকে মনে রাখার বিশেষ সয়তা করে থাকবে।
সম্পর্ককে ভাল রাখার জন্য একসঙ্গে কম সময় কাটান

আপনি সবসময় একই সঙ্গে সময় কাটানো, সব জায়গায় একই সঙ্গে যাওয়া, একসাথে কোথাও বেড়ানোতেই যে আপনার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তা কিন্তু নয়। বরং এতে আরও আপনার ব্যক্তি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এর ফলে আপনার মধ্যে হতাশা, অস্তিত্বের সংকট ইত্যাদি তৈরি হতে পারে। অন্য দিকে আপনার সঙ্গীকে এভাবে বুঝতেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সবচেযে ভালো হয় বরং কিছু সময় একা থাকুন, নিজেকে সময় দেবার চেষ্টা করুন।
ওজন কমাতে মিষ্টি বিহীন পানীয় খাবেন না

আপনি ওজন কামাতে ডায়েট কোকাকোলা, পেপসি বেছে নিতে পারেন।এক বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন থাকেন তারা বরং আরও অনেক বেশি মাত্রায় ক্যালরি গ্রহণ করে থাকেন।
আরো একটি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা ডায়েট সোডা পান করে থাকেন তাদের কোমর ১০ বছরে ৭০ শতাংশ বেশি স্থূল হয় থাকে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন না তাদের তুলনায় অনেক বেশি।
তাই আপনি নিয়মিত ডায়েট কার্বোনেটেড বেভারেজ বা মিষ্টি বিহীন পানীয় পান করুন, এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি আপনার কমের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
গরমের দিনে গরম খান

গ্রীষ্মের এক সকালে কী খেয়ে থাকেন আপনি, গরম না শীতল ঠাণ্ডা এক মগ কফি অথবা এক কাপ চা তাই না ? অবশ্যই ঠাণ্ডা কফি বা চা ! আপনি সাধারণ এই ধরণের ভুল করে থাকেন!
আপনি জানেন কি এতে বরং ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, গরমের সময় গরম খাবারি আপনাকে বরং ঠাণ্ডা রাখে।
কারণ, গরমের দিনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ঘামেরে সৃষ্টি হয়, আর ঘাম হওয়া কিন্তু শরীরের জন্য বিশেষ জরুরি!
ক্লান্তিকর সময় এনার্জি ড্রিংক্স নয়

আপনি জানেন কি ? এনার্জি ড্রিংক্স কফির তুলনায় সাধারণত ৬ গুণ বেশি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ একটি পানীয়। কিন্তু এনার্জি ড্রিংক্স স্বল্প সময়ে জন্য এনার্জি তৈরি করে থাকে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
এতে উপকারের চেয়ে আপনাকে নার্ভাস করে দেয়, এতে আপনার পালস বেড়ে যায়। ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া গেলেও পড়ে আপনাকে আরো বেশি দুর্বল করে দেয় এবং দ্রুতই ঘুম পায়, গা ছেড়ে দিয়ে থাকে। যা শরীরের জন্য উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশি হয়ে থাকে।
আঁশযুক্ত খাবার খান

খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত শষ্যদানা রাখুন৷ বিশেষ করে সকালের নাস্তায় সিরিয়ালের সাথে বিভিন্ন শষ্যদানা, গম, ভুট্টা, ফল এবং দই থাকতে পারে৷ এতে ঝটপট পেট ভরে এবং পেট পরিষ্কারও থাকে, অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ তবে ফল মানেই আপেল, আঙুর নয়৷ বরং যখন যে ফল পাওয়া যায়, মানে মৌসুমি ফল খান৷ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে৷
শরীরের জন্য প্রয়োজন সবকিছুই

প্রতিদিন একই ধরনের খাবার কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়৷ তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন৷ তাছাড়া খাবারের গুণগত মানটাই বড়, খাবারের পরিমাণ নয়৷ এই যেমন, প্রোটিন শরীরের ওজন না বাড়িয়ে মানসম্পন্নভাবে শক্তি সরবরাহ করে, যা কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷
তাজা ফল এবং শাক-সবজি খান

প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শিম, মটরশুটি, বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি ও যথেষ্ট ফল থাকা প্রয়োজন৷ এ সব শরীরে চিনি নিয়ন্ত্রণে যেমন সাহায্য করে, তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে৷ বাঁধাকপি, ফুলকপি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক৷
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মতে দিনে কয়েকবার শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত৷ যাঁরা ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি খান, তাঁদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির ঝুঁকিও নাকি কম থাকে৷
ফাস্টফুডকে ‘না’ বলুন

দোকানে তৈরি ‘ফাস্টফুড’ বা ‘রেডিমেড’ খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়৷ এগুলোতে লুকিয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং নানা রকম ক্ষতিকারক জিনিস৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে ফাস্টফুড হাঁপানি হওয়ার শঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷ ৩১টি দেশের শিশুদের ওপর এক গবেষণা করে এ তথ্য জানা গেছে৷ তাই ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে৷
ব্রেনের জন্য খাবার

মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ৷ এটা থাকে বিভিন্ন ফল, রুটি, মিষ্টি আলু, নুডলস, মাছ-মাংস, কাঠবাদাম প্রভৃতিতে৷ তাই অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের বাদাম নিয়মিত খাওয়া জরুরি৷ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদানগুলি রয়েছে৷ দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই বা তিনদিন বিভিন্ন রকমের বাদাম খেলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব৷ ডিমের কুসুমও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী৷
দুধ বা দুধের তৈরি খাবার

প্রতিদিন খাবারের তালিকার দুধ রাখা উচিত৷ তবে আজকাল অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই সরাসরি দুধ খেতে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে দুধের তৈরি অন্যকিছু খাওয়া যেতে পারে৷ দুধে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ৷ তাই একে সুসম খাদ্যও বলে৷ এছাড়া সপ্তাহে দু’দিন মাছ-মাংস বা ডিম খেলেই যথেষ্ট৷ সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি চর্বি, যা বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে৷
আদা, রসুন, পেঁয়াজের জুড়ি নেই

রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল ব্যবহার করুন৷ আর যদি সম্ভব হয় সরাসরি উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করাই ভালো৷ উদ্ভিজ্জ খাদ্যে যেমন অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তেমনি অন্যদিকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ আর ফাইবার৷
এশীয় রান্নাঘরে আদা, রসুন, পেঁয়াজের ব্যবহার এমনিতেই রয়েছে৷ এই পেঁয়াজ, রসুন, ক্যানসার রোধে সহায়ক৷ আর আদা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার রাখে৷
পানীয় বেশি, লবণ-চিনি কম খান
প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত৷ তবে মিষ্টি মিশ্রিত পানীয় নয়, অর্থাৎ কোলা, ফান্টা বা এ জাতীয় কিছু নয়৷ ওহ হ্যাঁ, উচ্চরক্তচাপ বা ডায়বেটিস এড়িয়ে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে লবণ ও চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ বজায় রাখুন৷ লক্ষ্য রাখবেন, চিনির ক্ষেত্রে তা যেন হয় প্রকৃতিক উপায়ে তৈরি, অর্থাৎ ব্রাউন চিনি আর লবণ যেন হয় আয়োডিন এবং ফ্লোরাইড যুক্ত৷
ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খান
খাবার তাড়াহুড়ো করে খেলে বেশি খাওয়ার ভয় থাকে৷ এতে ওজন বাড়ে এবং তা হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়৷ তাই খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান৷ এতে অর্ধেক হজম হয়ে যায়৷ তাছাড়া আপনি কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন – তা বুঝে শুনে খান, অর্থাৎ খাবার উপভোগ করুন৷ আপনি যা খাবেন, ঠিক সেরকমই ‘বোধ’ করবেন, অর্থাৎ আপনার ‘পারফরমেন্স’ নির্ভর করবে আপনার খাওয়ার ওপর৷ আর চেহারাতেও তার প্রমাণ ফুটে উঠবে৷
বেশি করে হাঁটুন
প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটুন৷ এতে হাত-পা চলাচলের পাশাপাশি মুক্ত বাতাসও সেবন হবে, যা ‘ফিট’ থাকতে বিশাল ভূমিকা পালন করে৷ হাঁটার সময় কেউ পাশে থাকলে ভালো, না হলে একাই কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন৷ ফিরে এসে দেখবেন শরীর এবং মন – দুটোই কেমন ফুরফুরে লাগছে! হাঁটাহাটি বা ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে৷
শুক্রাণুর গতি বৃদ্ধিতে গাজর
শুক্রাণুর নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সবজি সুস্থ সবল শুক্রাণু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা দাবি করেছেন, গাজর একাই ডিম্বাণুর দিকে শুক্রাণুর গতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। গাজরের সঙ্গে লেটুস, পালংও বাড়িয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর গতি।
গাজর, লেটুস, পালংয়ের মত সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন নামের এক জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে।
গবেষকদের মতে, এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ডিম্বাণু অভিমুখে শুক্রাণুর গতি ৬.৫% থেকে ৮% বাড়িয়ে দিতে পারে।
অন্যদিকে, টম্যাটোর মধ্যে লাইকোপেন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। টম্যাটোর লাল রংয়ের জন্য দায়ি এই প্রোটিন। লাইকোপেন অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণুর উৎপন্নকে প্রতিহত করে।
ছোট কাপড়ে ফিট হতে ওজন বাড়ান
ছোট কাপড় সাধারণত নির্ভর করে শরিরের মাংসপেশির ধরনের উপর। আপনি যখন নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তখন ওজন কম হয় না বরং বেড়ে যায়। তাই আপনি অনায়াসেই আপনার আগের ব্যবহারকৃত পছন্দের কাপড়গুলো পরিধান করতে পারেন।
আপনি কি জানেন কেন হয় এটা? কারণ ব্যায়াম আপনার বাড়তি মেদ কমিয়ে থাকে। সাধারণত মেদহীন পেশি কম জায়গা নিয়ে থাকে, তার ফলে ওজন বাড়লেও পুরাতন কাপড় পরা যায় খুব সহজেই।
প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খান
আমরা অনেক সময় দেখা যায় যে কম কার্বোহাইড্রেট খেতে গিয়ে আমরা এতই কম খেয়ে ফেলি যে ক্ষুধা লাগে কিছুক্ষণ পরপর। আপনি ভাবছেন কী খাবেন তাহলে?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে আপনি প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ধরুন বাদাম ও পনির এই জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
আপনি কিছু ভাবছেন যে এগুলোতে তো প্রচুর ফ্যাট থাকে তাই না। তবে তবে এই জাতীয় খাবার অনেক সময় ধরে আপনাকে ক্ষুধার অনুভূতি থেকে বিরত রাখবে। এতে আপনার দ্রুত ক্ষুধার অনুভূতি কাটবে এমনকি ভারী খাবার না খেয়েও অনেক সময় কাটাতে পারবেন।আপনার এক দিকে যেমন সময় বাঁচবে ও তেমনি ভারী খাবারের চাহিদা কম হবে।
খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না
আপনি সাধারণত সুস্থ্ দাঁত রাখার জন্য দাঁত ব্রাশ অবশ্যই করেন। কিন্তু আপনাকে খাওয়ার একদম পরেই যে দাঁত ব্রাশ করবেন তা নয়। আপনার বরং এতে ক্ষতি হতে পারে কারণ টুথপেস্টের মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে তা আপনার খাদ্যের
উপাদানের সাথে বিক্রিয়ায় দাঁতের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আপনি রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এই সময়ে একটু পায়চারি করলে দোষের কিছু নেই। পায়চারি করা হলো এক ধরণের ব্যায়াম।
নিজের মনের ইচ্ছের দিকে নজর দিন
মানুষ সারাক্ষণ দেহের সুস্থতা নিয়ে ভাবে। আর এটি সহজও বটে।
কিন্তু ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ও এক্সারসাইজ বিষয়ক শিক্ষক ড. নেডাইন স্যামি বলেছেন, আমাদের নিজেদের মনের উপরে বিশেষ খেয়াল দেয়া দরকার।
তার মতে, আত্ম-সচেতনতা বাড়িয়ে মনের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো সম্ভব।
ড. স্যামি বলছিলেন, আত্ম-সচেতনতা এমন এক জিনিষ যা মানুষকে তার নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছে-অনিচ্ছা অনেক নিবিড়ভাবে চিনতে সহায়তা করে।
তার মতে, নিজের অনুভূতিকে চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে সবচে’ বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
নিজের সম্পর্কে ব্যক্তির ধারণা যত নির্ভুল ও গভীর হবে, ততই সে তার নিজের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলো জানবে। এই জানার মাধ্যমেই নিজের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়ে উঠে বলে মনে করেন ড. স্যামি।
কুকুর পুষতে পারেন

শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকতে জিমে যাওয়া বা ভোরে দৌড়ানোর চেয়েও আপনাকে আরো বেশি কাজে কায়িক পরিশ্রমে ব্যস্ত করে রাখবে পোষা কুকুর।
এবারিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. রিস থেচার বলছিলেন, জিম হয়তো কারো কারো জন্য একটা ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু তা সবার জন্য নয়। তাই এক্ষেত্রে মোক্ষম উপায় হতে পারে একটি কুকুর পোষা।
অনেক্ষন বীর্য ধরে রাখার উপায় :এই ৪০টি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দেখুন ✅
কারণ কুকুরকে যদি দিনে দুইবার অন্তত ৩০ মিনিট কর হাঁটাতে হয় তখন আপনিও নিজে থেকেই হাঁটবেন। আর এভাবেই রোজকার হাঁটার ভেতর দিয়ে শরীর ও মনের সুরক্ষা হবে।
সপ্তাহে ৩০ পদের সবজি ও ফল-ফলাদি

লন্ডন কিংস কলেজের একজন গবেষণা ফেলো ড. মেগান রসি বলছিলেন, শুধু বেশি করে সবজি ও ফল-ফলাদি খেলেই হবে না। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ভিন্নতাও থাকা জরুরি দরকার।
ড. রসির মতে, প্রতি সপ্তাহে সব পদ মিলেয়ে যদি ভিন্ন-ভিন্ন ৩০ পদের সবজি ও ফল-ফলাদি খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
আমাদের পাকস্থলীতে মাইক্রোবায়োম বলে একটি ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের সুস্বাস্থ্যের উপরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।
তাই এক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব লতা-পাতা ও উদ্ভিজ্জ সবজি খেতে পরামর্শ দিয়েছেন ড. রসি।
বেশি করে হাসুন

ড. জেমস গিল বলছেন, মানুষের উচিত সুখী হওয়ার চেষ্টা করা। এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসতে পারে যে, সুখী হওয়া কি আর চাট্টিখানি কথা? নাকি চাইলেই সুখী হওয়া যায়?
এক্ষেত্রে ড. গিলের উত্তর হচ্ছে, সহজেই সুখী হওয়া যায়। সুখী থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
হ্যা, পর্যাপ্ত ঘুমের কথাই বলা হয়েছে। একজন পরিণত বয়সের মানুষের রাতে গড়ে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
কিন্তু একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তবে শরীরের উপরে এর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির স্পোর্ট এন্ড হেলথ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. গেভিন বাকিংহাম বলেছেন, ঘুম কম হলে মানুষের কগনিটিভ ফাংশান বা নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়।
ঘুমের ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাবে এমনকি অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যক্তি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে পরে বলে জানালেন ড. বাকিংহাম। তাই, দেহ ও মনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় টিপস

১) আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। এতে করে দেখা যাবে খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করছে।
২) হাত পায়ের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে চাইলে হাতে ও পায়ে নিয়মিত আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে করে আগের থেকে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে এবং কালো দাগগুলো দূর হবে খুব সহজে।
৩) আপনার স্ট্রোক প্রতিরোধ নিয়মিত চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত চা খেলে আমাদের ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।
৪) আপনার শরীরকে অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে করে আপনার ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।
৫) আপনার ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি যদি নিয়মিত করেন তাহলে ঠোটেঁর কালো দাগ অনেকাংশে উঠে যাবে।
৬) টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে কিছু সময় যদি মুখে লাগিয়ে রাখলে রোদে জ্বলা ভাব অনেকাংশে কমে যাবে।
৭) আমাদের সকলের পরিচিত মধু নানাগুণের অধিকারী । আমাদের শরীরে অসাড়তা, গলাব্যথা, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মানসিক চাপ, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।
৮) আপনার কনুইতে কালো ছাপ দূর করতে চাইলে এখন থেকে নিয়মিত লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এটা নিয়মিত কিছু দিন করুন অন্তত ২ সপ্তাহ। এতে আপনার কনুইতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।
৯) মুখ আমাদের পরিচয় বহন করে। এই সুন্দর মুখ যদি ব্রনে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে আপনার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাবে আপনার মুখ থেকে।
১০) আপনার শরীরে লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে চিরতরে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশ্রিত করে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে শরীরের যে অংশে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান। খুব ভাল ফলাফল পাবেন।
১১) যদি মাথাব্যাথার সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করে তাহলে এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত প্রচুর মাছ খান। কেননা মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া আরও খেতে পারেন আদা। কেননা আদা প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকর।
১২) আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগাতে পারেন। আর পায়ের গোড়ালি খুব বেশি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন ফাটা জায়গায়। একটা সময় গোড়ালি ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
১৩) সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রিত করে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা বা তার একটু বেশি সময়।
তারপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কিছুদিন লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ করে। তারপর দেখবেন আর হাত ঘামবে না।
১৪) আপনার পিঠের অনেক পুরানো কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন, নিয়মিত ২ সপ্তাহ এটা করতে পারেন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।
১৫) আপনার মুখে যদি বাদামী দাগ থাকে তাহলে বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান কিছু সমউ রেখে দিন, পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
১৬) সর্বদা বাম কানে ফোন রিসিভ করুন।
১৭) ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঔষধ খাবেন না ।
১৮) বিকেল ৫টার পর ভারী খাবার খাবেন না ।
১৯) সকালে (দিনে) পরিমিত পানি পান করুন,রাতে তুলনামূলকভাবে কম ।
- বিশ্বের সেরা ২০টি স্মার্টফোন
- REALME 5S সঙ্গে REALME 5 আর REDMI NOTE 7 এর পার্থক্য
- আপনার ফোনে ক্ষতিকর এই অ্যাপগুলো নেই তো?
- সনি, শাওমি ও স্যামসাং ফোন হ্যাক করে কোটি টাকা উধাও!
- পিতা-পুত্রের একদিনের আয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার
২০) রাতে খাওয়ার সাথে সাথেই শুয়ে পড়বেন না।
২১) ফোনের ব্যাটারি যখন এক দাগ তখন ফোন রিসিভ না করাই ভালো, কারন তখন ফোনের রেডিয়শন ১০০০ গুন বেশি শক্তিশালী হয়।
২২) যখন আপনি খেতে বসবেন কখনোই একবারে বেশি খাবেন না। অল্প করে খান, তবে একটু পর পর।
২৩) প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
২৪) অফিসে সবসময় ঘরের তৈরী খাবার খান। কাজের মঝে অবশ্যই টি ব্রেক নিন। কারণ একটানা কাজ করতে গেলে কিছুটা হলেও শরীরে চাপ পড়ে।
২৫) জায়গায় লিফট ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন সিঁড়ি বেয়ে উঠতে।
খেজুরের উপকারিতা ও ৪০টি পুষ্টিগুণ; খেজুর খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে ?
২৬) সবসময় রান্না করার সময় খাবারে লবণের ব্যবহার কম করুন।
২৭) প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।
২৮) সলিড ফ্যাট খাবার, যেমন- ফাস্টফুড, ঘি, মাখন, চিজ ইত্যাদি খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
২৯) প্রতিদিন খাবারের মেনুতে সবজি ও মাছ রাখুন। এবং ফল খেতে ভুলবেন না।
৩০) নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাইরে সম্ভব না হলে বাসাতেই ১৫ থকে ২০ মিনিট নিজে নিজে ব্যায়াম করুন। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস ও ট্রিকস

- ১. ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।
- ২. টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা বাব কমে যাবে।
খেজুরের উপকারিতা ও ৪০টি পুষ্টিগুণ; খেজুর খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে ?
- ৩. হাড়িঁ-বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে।
- ৪. কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।
- ৫. মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।
- ৬. লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান।
- ৭. চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগান।
- ৮. তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টা পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
- ৯. যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
- ১০. মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। খেতে পারেন আদা। প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে তা বিশেষভাবে কার্যকর।
- ১১. অনিদ্রার সমস্যায় মধু কার্যকর।
- ১২. পেটের পীড়ায় খেতে পারেন কলা, আদা। আদা মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমিভাব দূর করে।
- ১৩. ঠান্ডা লাগলে রসুন খান।
- ১৪. আলসারের সমস্যায় বাঁধাকপি বিশেষভাবে উপযোগী। এতে থাকা খাদ্যোপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার হিল করতে সাহায্য করে।
- ১৫. স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গমজাত খাদ্য, বাঁধাকপি কার্যকর।
- ১৬. মুখের বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান, পরে ধুয়ে ফেলুন।
- ১৭. নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর এ সমস্য থাকবেনা।
- ১৮. সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।
- ১৯. অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।
- ২০. পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।
- ২১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মেৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
- ২২. মুখে কোন র্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেষ্ট লাগান র্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবেনা।
- ২৩. পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।
- ২৪. মুখের তাৎক্ষনিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে। আধা চা চামুচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে আদ্র রাখবে।
- ২৫. হাত পায়ের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে।
- ২৬. জ্বর হলে খেতে পারেন ইয়োগার্ট। মধুও খেতে পারেন।
- ২৭. স্ট্রোক প্রতিরোধ চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত চা খেলে ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।
- ২৮. নানাগুণের অধিকারী মধু। অসাড়তা, গলাব্যথা, মানসিক চাপ, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।
- ২৯. হাঁপানিতে পেঁয়াজ খান। শ্বাসনালীর সংকোচন রোধে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
- যৌনশক্তি বা কামশক্তি বৃদ্ধির ৩০টি উপায় ও খাবার
- যৌনশক্তি বা কামশক্তি বৃদ্ধির ৪০টি স্মাট উপায়
- ছেলেদের যে ৭টি কারণে মেয়েরা কাঁদে!
- যৌনমিলন কোন বয়সে হওয়া খুব বেশি জরুরী?
- কিভাবে চিনবেন অধিক চাহিদার যৌন আবেদনময়ী মেয়ে?
প্রিয় পাঠক, আপনিও সম্ভব ডটকমের অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, বিস্ময়কর পৃথিবী, সচেতনমূলক লেখা, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ ইনবক্স করুন- আমাদের ফেসবুকে SOMVOB.COM লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।